বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১১

যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশী ল্যাপটপ “দোয়েল”

অনুষ্ঠানে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন। শিক্ষার্থীদের এবং বাংলা ব্যবহারকারীদের সুবিধা মাথায়  রেখে দোয়েল তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েলের নাম অনুসারে এর নাম রাখা হয়েছে।
টেলিফোন শিল্প সংস্থা লিমিটেডের (টেশিস) গাজীপুর কারখানায় এই ল্যাপটপের পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হয়। এই ল্যাপটপ তৈরির জন্য প্রথামিকভাবে ১৪৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। টেশিসের কারখানায় প্রতিমাসে ১০ হাজার ‘দোয়েল’ তৈরি করা হয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শ ও সহযোগিতায় মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান ‘থিম ফিল্ম ট্রান্সমিশন’ (টিএফটি) এবং কয়েকজন বিদেশি বিশেষজ্ঞের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হয়েছে এ প্রকল্প।
ল্যাপটপের মাদার বোর্ডসহ শতকরা ৬০ ভাগ যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরি হয় । তবে প্রসেসর হচ্ছে ইন্টেলের। চার ক্যাটেগরির হবে এই ল্যাপটপঃ
১। প্রাইমারি   মূল্য   ১০,০০০  টাকা
2.। বেসিক     মূল্য   ১৩,৫০০   টাকা
৩। স্ট্যান্ডার্ড    মূল্য  ২০,০০০  টাকা
৪। অ্যাডভ্যাস  মূল্য  ২৬,০০০  টাকা
ল্যাপটপ গুলোর কিছু ছবি নিম্নে দেয়া হলঃ









মনিটরঃ 14 (1366*768) WXGA LED Backlight
প্রসেসরঃ Intel® Pentium P6200 2.13 GHZ Processor
চিপসেটঃ Intel HM55 Chipset
র্যামঃ     2GB DDR3
হার্ডডিস্কঃ SATA 320GB HDD
সিডি/ডিভডিঃঃDVD Writer ( Samsung )
ওয়েবক্যামঃ Integrated 1.3 MP Webcam
নেটওয়ার্কঃ 802.11 bg/n
10/100M Ethernet LAN (RJ-45)
3 USB 2.0
অপারেটিং সিস্টেমঃ Linux Based OS
মূল্যঃ Approximately 25,000-28,000 Tk.
 উপরোক্ত কনফিগারেশন থেকে দেখা যাচ্ছে যে , শুধুমাত্র Advance ক্যাটেগরিতে  সিডি ডিভিডি রম/ রাইটার এর সুবিধা আছে। বাকি গুলতে তা  নেই। তবে যা দেয়া আছে তা দিয়ে কাজ চলে যাবে। তবে আমরা সবাই আশা করছি বাংলাদেশ সরকার তথ্য-প্রযুক্তিকে আরও এগিয়ে নিবে।


কোন মন্তব্য নেই: